সংবাদ সম্মেলনের পর ধর্ষণচেষ্টা, হত্যাচেষ্টা, মারধর এবং হুমকির অভিযোগে আবাসন ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।
এর আগে অনাকাঙ্খিত এই ঘটনার বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সহযোগিতা পাননি বলে সংবাদমাধ্যমে জানান পরী। এ সময় তিনি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগিতাও চেয়েছেন।
এরপরই মূলত প্রশ্ন ওঠে- এ ঘটনায় শিল্পী সমিতি চারদিন নীরব ছিল কেন? শিল্পীর সম্মান রক্ষায় এই সমিতির ভূমিকা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। পরীমনির ভাষ্য মতে, অভিযোগের তীর শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের দিকে। কারণ পুরো ঘটনা শোনার পরও নিশ্চুপ ছিলেন পরীমনির প্রথম ছবির এই নায়ক। তিনি বর্তমানে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এ বিষয়ে জায়েদ খানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘পরীমনি শিল্পী সমিতিতে এসেছিল। বিষয়টি আমাকে বলেছিল। পরী মূলত আমার কাছে চাচ্ছিল- পুলিশের আইজিপি মহোদয়ের সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করে দিতে। আমি চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি ঢাকার বাইরে থাকায় দেখা হয়নি।’ জায়েদ খান আরো বলেন, ‘আমি পরীর কাছে দুই দিনের সময় চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, লিখিত অভিযোগ দিতে। কিন্তু পরী সেটা করেনি। এমনকি থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তাতেও সে তখন রাজি হয়নি।’ তারপরও সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন জানিয়ে এই নায়ক বলেন, ‘শিল্পী সমিতিতে আমি একাই সব না। এখানে সভাপতি ও উপদেষ্টা রয়েছেন। নিয়ম হচ্ছে একটা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সমিতির সবার সিদ্ধান্ত আমি একা নিতে পারি না।
পরীমনি যেদিন জায়েদ খানের সঙ্গে দেখা করেছেন সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার (১০ জুন)। এরপর শুক্রবার ও শনিবার ছিল বন্ধের দিন। রোববার জায়েদ খান আইজিপি মহোদয়ের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন পরীমনিকে। বলেছিলেন, ‘তোমার (পরীমনি) মন খারাপ লাগলে তুমি এফডিসি চলে এসো। আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি।
এরপর রোববার (১৩ জুন) পরীমনি ফেইসবুকে পুরো ঘটনার বিচার চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জানতে পারেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার সুষ্ঠু বিচার আমরাও চাই। দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।